নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
দুই বছর আগে একটি দোকান ভেঙে দেয়ার প্রতিশোধ নিতেই রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বিউটি আক্তার কুট্টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া অন্যতম আসামী মো. সাদ্দাম হোসেনকে (২৫) বৃহস্পতিবার ভোরে চনপাড়া বস্তি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সাদ্দাম নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এসপি হারুন অর রশীদ।
পুলিশ সুপার জানান, দুই বছর আগে গ্রেপ্তার হওয়া সাদ্দাম হোসেনের সাথে “বাবুল স্টোর” নামে একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করিয়া কুট্টি মেম্বার তার লোকজনের বিরোধ দেখা দেয়। যার ফলে সেই দোকান ভেঙে দেয়। সাদ্দাম বিনা কারণে কুট্টির লোকজনের মাধ্যমে দোকান ভেঙে দেওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজছিলো এছাড়া এলাকায় মাদক, আধিপত্য বিস্তারসহ অন্যান্য কারণে সাদ্দামসহ অন্যান্যরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজছিলো। সুযোগ পেয়ে সাদ্দামসহ আরো ৮/১০ জন মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটায়। কুট্টির স্বামীকে কারা হত্যা করেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে সক্রিয় মহলসহ আরো কয়েকটি বিষয় তদন্তের আওতায় রয়েছে বলে জানান এসপি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন ভোর সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মেম্বার বিউটি আক্তার কুট্টি প্রাতঃভ্রমণ করাকালীন তাকে একা পেয়ে সাদ্দামসহ আরো কয়েকজন পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেম্বার বিউটি আক্তার কুট্টির উপর চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের মেয়ে পারভীন আক্তার বুধবার রূপগঞ্জ থানায় ১১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।