ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। হৃদযন্ত্রে পাওয়া তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে স্টেন্ট (রিং) পরানোর পরও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে
তিনি বলেন, সকাল থেকেই ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা উন্নতি-অবনতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি, তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।
এর আগে, রোববার সকালে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম শেষে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর পর তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে রাখা হয়।
ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের পক্ষ থেকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন— প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিয়েশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, কার্ডিওলজির অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক মেশকাত চৌধুরী, অ্যানেস্থেশিয়ার অধ্যাপত দেবব্রত ভৌমিক, অধ্যাপক ডা. আক্তার, কার্ডিও সার্জারির ডাক্তার বুলবুল, অধ্যাপক ওহিদ বর্মণ অধিকারী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক কামরুল হাসান, তানিয়া সাজ্জাদ প্রমুখ ।
এর আগে, দুপুরে বিএসএমএমইউ কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আলী আহসান সাংবাদিকদের জানান, “ওবায়দুল কাদের ‘এই ভালো, এই খারাপ’ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হচ্ছে। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে তার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না।” উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা চিন্তা করা হলেও এই মুহূর্তে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদেরকে দেশের বাইরে নেওয়া হবে কি না— নেতারা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপাতত দেশের বাইরে নেওয়ার দরকার নেই। এখানেই চিকিৎসা চলবে।’ প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে ছিলৈন শেখ হাসিনা।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও তাকে দেখতে যান বিএসএমএমইউতে।
সূত্রে সারাবাংলা ডট নেট