নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে দুই শিশুসহ চারজন মারা গেছে। এ ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ নামের ঘাতক জাহাজসহ চালক ও জাহাজের সবাইকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটি মেঘনা ঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জাহাজ এমভি রূপসী-৯ ও জাহাজটির চালকসহ সবাইকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
মৃত ছয়জনের মধ্যে দুজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছয়জনের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন জয়নাল ভূঁইয়া (৬০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতারে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ওমর ফারুক বলেন, জয়নাল হার্টের রোগী ছিলেন। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর সাঁতারে তীরে উঠেছিলেন জয়নাল ভূঁইয়া। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
বিআইডব্লিউটিএয়ের উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করতে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।