নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: আমরা নারায়ণগঞ্জে কারো পায়ে ভর দিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের নেতা একজনই ‘শেখ হাসিনা’। বাকি আর কাউকে নেতা হিসেবে গোনায় ধরি না।
গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের (নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্ক) নওম পার্কে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান এ কথা বলেন।
সভায় শামীম ওসমান বলেন, সময় আসছে আমাদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তারা যুদ্ধ করেছিল দেশটাকে স্বাধীন করার জন্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে। হয়ত আগামী এক-দুই মাসে একটা আঘাত করার চেষ্টা হবে। তারা জিততে পারবে না। কারণ নেত্রীর ওপর আল্লাহর রহমত আছে।
ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, আমি জানি আমি ইচ্ছা করলে কী করতে পারি। আমি জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। প্রচণ্ড কষ্ট লেগেছে মনে। সংসদে আমার আশপাশে দুই আড়াইশ এমপি আছেন। আমি কোনো অভিযোগ করিনি তার কাছে। হঠাৎ দেখি তিনি বক্তব্য শেষে ঘুরে বললেন থ্যাংকস টু ইউ। প্রথমে আমরা সবাই ভেবেছিলাম তিনি আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। পরে তিনি আবার বললেন অল দ্য থ্যাংকস টু শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জের এই এমপি বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) থ্যাঙ্কস দিবে কেন, আমি তার কর্মী। তার পক্ষে না থাকার আগে যেন আমার মৃত্যু হয়। তবুও কিছু কষ্ট থাকে৷ করোনায় তার পাঁচ ফুটের মধ্যে যাওয়া নিষেধ। আমি গিয়ে তাকে বললাম আমি কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, ‘আমাদের মুক্ত করতে গিয়ে তোমার বাবা আমার চাচা রক্ত দিয়েছেন।’ আমার ভেতরে যে কষ্টের বিষ ছিল তা চোখ দিয়ে বের হতে চাচ্ছিল। তিনি আরও কিছু কথা বলেছেন যেগুলো বলা ঠিক হবে না। বিষাক্ত জিনিসটা চোখের পানি হয়ে বের হয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি নির্বাচন করিনি তবুও নারায়ণগঞ্জ টার্গেট হচ্ছে। আমি ফতুল্লায় নির্বাচনে যাইনি কাশিপুরে যাইনি। এনায়েতনগরে গিয়েছি কারণ আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা হয়েছে।