নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ’র মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার।
শনিবার ( ২৭ এপ্রিল ) গন মাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি মরহুম মাহফুজউল্লাহ’র বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
শোকবার্তায় রুহুল আমিন শিকদার উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থায় যে কয়জন সূর্য সৈনিক প্রতিবাদের ভাষা সমুন্নত রেখেছিলেন তাদের মাঝে অন্যতম কলমসৈনিক ছিলেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কলম ছিলো তরবারীর মতো ধারালো। সত্য প্রকাশে আপোষহীন এই কন্ঠস্বর আজ আমাদের মাঝ থেকে চলে যাওয়ায় আমরা এক অসীম শূণ্যতার মাঝে পতিত হলাম। এ ক্ষতি অপূরণীয় কারন বহু যুগ পরপর এ ধরনের ক্ষণজন্মা প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের আবির্ভাব ঘটে সমাজের বিশৃঙ্খলাগুলো জাতির কাছে তুলে ধরার জন্য। আমি মহান এই কলমযোদ্ধার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি সেইসাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। আল্লাহ পাক যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করেন, আমিন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় ১১টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১০টা ৫ মিনিট) বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে হোমাইরা নুসরাত মেঘলা। তিনি জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সকল প্রক্রিয়া শেষে রোববার অথবা সোমবার মরহুমের মরদেহ দেশে আনা হবে।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে মাহফুজউল্লাহ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১০ এপ্রিল ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল।