সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আইসিসির তদন্তের ঘটনায় চারদিকে তোলপাড়। এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিক কিছু না জানালেও তারা আইসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
অভিযোগ উঠেছে জুয়াড়িদের কাছে প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন, অথচ আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আইসিসি) বিষয়টা জানাননি সাকিব। বিষয়টি নিয়ে আইসিসির তদন্ত করছে। এই খবরে তোলপাড় তো হচ্ছেই, বিসিবিও ভীষণ এক অস্থির সময় কাটাচ্ছে। বিসিবি চেষ্টা করছে উদ্বেগ চেপে রাখতে।
বিসিবির এক শীর্ষ কর্তা দুপুরে জানালেন, সাকিবকে নিয়ে এখনো আইসিসি কিছুই জানায়নি। তাঁরা অপেক্ষায় আছে আইসিসির সিদ্ধান্ত জানার। তবে সূত্র জানিয়েছে আইসিসির অভিযোগ সম্পর্কে বিসিবিকে অবগত করেছেন সাকিব।
আইসিসির নিয়মে যা আছে
এ ধরনের ঘটনা আকসু স্বাধীনভাবে তদন্ত করে। তদন্ত চলার সময় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বললেও খুব প্রয়োজন না হলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায় না। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আইসিসি বিষয়টা পাঠায় তাদের আইনি বিভাগকে। আইন বিভাগের সিদ্ধান্ত জানার পরই আইসিসি অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে থাকে। এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায়। শাস্তি চূড়ান্ত হওয়া পর আইসিসি সবাইকে জানিয়ে দেয়।
শাস্তি নির্ধারণের পর ওই খেলোয়াড়ের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় মেনে নেওয়া না হয় আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটা।
বিসিবি যেহেতু বলছে আইসিসি তাদের কিছুই জানায়নি, সাকিবের বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে সেটিও তারা জানে না। জানে না বলেই তারা এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করতে পারছে না।
কাল রাতে খেলোয়াড়দের ভারত সফরের স্কোয়াড আরেকবার জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচকেরা। সেই স্কোয়াডে সাকিব নেই বলেই জানা গেছে। তবে কি ধরে নেওয়া হবে এ কারণেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক যাচ্ছেন না ভারত সফরে? বিসিবির ওই কর্মকর্তা বললেন, ‘স্কোয়াডটা আগে দেখেন, তারপর না হয় ব্যাখ্যার বিষয়টি আসবে।’