সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ ৪২৩ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
এক বিবৃতিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ ৪২৩ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও গ্ৰেফতারকৃদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, গত শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত চিটাগাং রোড মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির পালন করতে গেলে আওয়ামী পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আর মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির এক দফা দাবি আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদেরকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। ইনশাআল্লাহ রাজপথে সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এক দফা দাবি বাস্তবায়ন করেই রাজপথে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
এদিকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ছোড়া গুলিতে আহত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাচ্চু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেন নজরুল ইসলাম আজাদ।
উল্লেখ্য- শনিবার ( ২৯ জুলাই ) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানকে প্রধান আসামি করে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ৪২৩নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় আনোয়ার প্রধান ও সাগর প্রধানসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উপ- পরিদর্শক (এসআই ) মমিনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গ্ৰেফতারকৃত আসামি হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফারুক, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সদস্য ইউসুফ আলী, মুন্সিগঞ্জ জেলা গজারিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু, মুন্সীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবুল হাসেম ।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মো. সুবেদ আলী, সোলাইমান পলাশ, আনোয়ার হোসেন সানি, জাকির হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আতিক টেম্পু আতিক, আতিকুর রহমান প্রধান কামরুল হাসান সেন্টু , জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমন, মহাসড়তে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও নাশকাতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমামলায় গ্রেপ্তার ৭জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানান তিনি।