নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বিগত সাড়ে ৪ বছরে বন্দর উপজেলায় কোথাও কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নিজের জমিতে অন্যের নামে সাইনবোর্ড লাগানো, সরকারী বরাদ্দে পার্সেন্টিস খাওয়ার মত কোন কর্মকান্ড ছিল না যার ফলে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সেলিম ওসমানের মত একজন সংসদ সদস্য ছিল বলে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করতে দলমত নির্বিশেষে তাঁর পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন ধামগড় ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
বুধবার ৩১ অক্টোবর রাত ৯টায় ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া এলাকায় আব্দুর রহমান ক্বারী সাহেবের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনদিন ব্যাপী ওরশ ও মিলাদ মাহফিলের শেষ দিনে উপস্থিত প্রায় ৫ থেকে ৭হাজার মানুষ সম্মস্বরে হাত উচিয়ে আগামী নির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমানকে আবারো বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
মিলাদ মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিত আলোচনা সভায় ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকেই আমাদের ধামগড় ইউনিয়নে কোন হাইস্কুল ছিল না। এখানে একটি হাইস্কুল ইউনিয়নবাসীর প্রাণের দাবী ছিল। এমপি সেলিম ওসমান নির্বাচিত হওয়ার পর আমাদের ইউনিয়নে হালুয়াপাড়ায় সম্পূর্ন নিজের অর্থায়নে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি আধুনিক হাইস্কুল নির্মাণ করে দিয়েছেন। ওই স্কুলে আমার আপনার সবার সন্তানেরা সম্পূর্ন বিনা খরচে লেখাপড়া করছেন। আমাদের ইউনিয়নে আগের মত অন্যের জমিতে রাতের আধাঁরে এখন আর কেউ সাইনবোর্ড লাগিয়ে যায় না। এলাকার উন্নয়নে সরকারী বরাদ্দের থেকে এখন আর কাউকে কোন পার্সেন্টিস দিতে হয়না। তাই এলাকার এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। উনি নিজেও কোন পার্সেন্টিস নেন না এবং অন্য কেউ নিবে এটা তিনি কখনোই সহ্য করেন না। ঈদের আগে আমাদের সবার ঘরের দরজায় উনার পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রীর একটি প্যাকেট আপনাদের হাতে পৌছে দিয়েছেন চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে। যা অতীতে অন্য আর কোন সংসদ সদস্যের আমলে এমনটা হয় নাই। বাংলাদেশে উনিই একমাত্র এমপি যিনি এলাকার উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দেও বাইরে নিজের পকেট থেকে গত সাড়ে ৪ বছরে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আমরা উনার কাছে না কিছু না চাইতেই উনি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরাও এই পবিত্র অনুষ্ঠানে কথা দিচ্ছি ধামগড় ইউনিয়নবাসীও বাসী দলমত নির্বিশেষে আপনাকে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করে আবারো আমাদের অভিভাবকের আসনে বসাবো।
এ সময় উপস্থিত প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে সম্মস্বরে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, বিগত সাড়ে ৪ বছরে আমার মুছাপুর ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা শুধুমাত্র লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থানের দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝা যায়। এছাড়াও বিগত দিনে কোন মারামারি হানাহানি ছিলনা। মানুষ শান্তিতে জীবন যাপন করেছেন। তাই এই উন্নয়ন এবং শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে আগামীতে আবারো সেলিম ওসমানকেই আমরা এমপি হিসেবে পেতে চাই।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো সেলিম ওসমানকেই এমপি নির্বাচন করতে সকলের প্রতি অনুরোধ রাখেন।