নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সমর্থক দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানাগেছে ।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সমর্থক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবু ও চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সোহেলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। এ সময়ে আহতের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া পথে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সমর্থকরা বাঁধা দেয় ।
হাবিবুর রহমান হাবুর পক্ষের আনিছুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবু পরিষদ থেকে বের হয়ে একটি বিচার সালিশে যাচ্ছিলেন। চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সোহেল ফোন করে শান্তিরবাজার এলাকায় নিয়ে যায়। এসময় সোহেলের নেতৃত্বে জুয়েলসহ ১৫-২০ জনের একটি দল দা, রামদ, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
অপরদিকে চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সোহেল বলেন, বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য একজন ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁও ও আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও গরু চুরির একাধিক মামলা রেয়েছে। শান্তির বাজারের ব্যবসায়ীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শান্তিরবাজার বাজারের নজরুলের দোকানে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে নজরুলের দোকান ভাংচুর করে। পরে ব্যবসায়িদের চাঁদার বিষয়টি জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে মারধরের চোষ্টাকালে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাবিবুর রহমান হাবু ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে আতংকের মধ্যে রেখেছে। গত বছর তাকে ডাকাতি ও গরু চুরির মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তাছাড়া গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের প্রার্থির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে ।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।