নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকায় কনফিডেন্স স্টীল মিল নামে একটি কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( জানুয়ারী ) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাদিপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি নেতা আবুল হাশেম ও যুবলীগ নেতা কাজী মাসুদের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি গ্রুপ ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মঙ্গলবার সকালে নয়াপুরস্থিত কনফিডেন্স স্টীল মিলে যায়।
এসময় কারখানার শ্রমিকদের সাথে তাদের ঝগড়া হয়। পরে শ্রমিকরা তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে মকবুল, শামীম, মনির ও মাহবুব নামে ৪ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে ওই গ্রুপের লোকজন কারখানার প্রধান গেইটে জড়ো হয়ে শ্রমিকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কারখানার সিসি ক্যামেরা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এসময় ৫-৬ জন শ্রমিক আহত হয়।
কনফিডেন্স স্টীল মিলের ডেপুটি ম্যানেজার আশফাক মিয়া জানান, এলাকার কিছু লোক জড়ো হয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং মিলের সিসি ক্যামেরা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে।
জাতীয় পার্টি নেতা আবুল হাশেম জানান, মিলের শ্রমিকরা অতর্কিতভাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের ৪ জনকে আহত করেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লার শেল্টারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন যাবত নয়াপুর কনফিডেন্স স্টীল মিলের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি নেতা আবুল হাশেমের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ ওই ঝুট ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। মূলত এটাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।