নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। এ উপলক্ষে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ। লিখিত বক্তব্যে উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, বলেন অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের নিজস্ব লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অকৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করা হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্ত পায় লোকজ ঐতিহ্যের অনন্য উপদান পুনরুদ্ধার ও নতুন প্রজন্মকে তার সাথে পরিচয় করানোর প্রচেষ্টায় ফাউন্ডেশন প্রতিবছর আয়োজন করছে লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। মেলা ও উৎসবে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান কারুশিল্পী, লোক সংঙ্গীত শিল্পীগণকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের সুযোগ করে দেয়াই এ মেলা ও উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য।
এবারের মেলায় সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম “ভালবাসার তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের” বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া “অটিজম শিশুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য” নৌকা বাংঙ্গালির বাহন” “সোনারগাঁয়ের লোকাচার” “সরকারের উন্নয়নে লোকশিল্প শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মেলা বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের নকশি পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশি কাঁথা, নকশি হাতপাখা, সিলেটের শীতল, ধামরাইয়ের তামা-কাঁসা পিতলের কারশিল্প, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্প।
এ বছর মেলায় ১৭০ টি স্টল রয়েছে। বিনামূল্যে লোককারুশিল্পীদের কারুপণ্য প্রদর্শনীর স্টল ৩০টি, হস্তশিল্পের ৫০টি, পোশাকের ৩৩টি, স্টেশনারি ও কসমেটিক্সের ৩০টি ও খাবার চটপটির ১৭টি এবং মিষ্টির ১০টি স্টল স্থান পেয়েছে।
আবহমান লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপস্থাপন, লালন, বিকাশ ও উন্নয়নে ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী লোকজ উৎসব ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে এ মেলা।