নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: হাটের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সোনারগাঁ
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের দরপত্র জমা নেয়ার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক হাটের দরপত্র নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যুবলীগ নেতা রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিল। তবে, বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিলে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব, যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েলসহ ২০/২৫ জনের একদল যুবলীগ নেতাকর্মী এসে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়, এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী, বাবু, ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ ও সজলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বিতারিত করে দেয় এবং উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, যুবলীগের সমর্থকরা দীর্ঘ দিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা এ বছর দরপত্র জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব মিয়া জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।