নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
টাকা ফেরত চাওয়াতে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার বাসিন্দা ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরীর (৫২) খুনিদের বিচার না হলে সন্তানসহ শহীদমিনারে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে খুনীদের ফাঁসির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ হুমকি দেন।
রেহানা বলেন, আমি আর আমার সন্তানকে যদি আত্মহত্যা করতে হয় তবে এরজন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন। আমার স্বামীর খুনিরা যেন কোনো ভাবে বের হতে না পারে । তাকে কিভাবে ১০ দিন মাটিতে রাখলো, আমার সন্তান কেন এতিম হলো। খুনিরা যদি বের হয়ে যায় আমি ওয়াদা করছি আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করবো আর এর জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন । আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই ।
রেহানা বলেন, আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। এমনকি কারও সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কি অপরাধ করেছিল? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাত করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য খুনীরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পাওে সেজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনরোধ করছি।
নিহত সেলিম চৌধুরী ছেলে রায়হান রিতুল চৌধুরী মানববন্ধনে বলেন, এই মুহুর্ত্বে কিছু বলার ভাষা নেই, আমি শুধু আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী বলেন, আমার বড় ভাইকে নৃশংসভাবে সংঘবদ্ধভাবে হত্যা করেছে মোহাম্মদ আলী। পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে আগেই সন্দেহ করেছিলো। আমরা খুনীদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে নিহত সেলিম চৌধুরীর মা মমতাজ বেগম সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, অগ্রযাত্রার সভাপতি বাদল হোসেন ববি প্রমুখ ।