নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নানা জল্পনা কল্পনা ও নানা গুঞ্জন আলোচনা সমালোচনা সমস্যা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নারায়ণগঞ্জের ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। এর সামনে থেকে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। নারায়ণগঞ্জের তরুণ দুই ডায়নামিক আইনজীবী নেতার কঠোর পরিশ্রমের ফলে ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায়। অতীতে অনেক রথি মহারথিরা বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করে আসলেও এত বড় বিশাল আকাশচুম্বি কাজ হাতে নেয়ার সাহস করেনি যা জুয়েল মোহসীন নিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পূরাতন ভবনের স্থলে ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন উপরে ব্লক তৈরি হওয়ার পরেই হুরহুর করে ওঠে যাবে আইনজীবী সমিতির ডিজিটাল বার ভবন। যেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্ন। ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে দিন রাত পরিশ্রম করেছেন সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া।
সূত্রে জানাগেছে, ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জে আসলেন তৎকালীন আইন মন্ত্রী। ওইদিন আইনজীবী সমিতির একটি অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের মহাজোটের এমপি একেএম সেলিম ওসমান পুরাতন ভবনের স্থলে একটি ডিজিটাল বার ভবন করে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আইন মন্ত্রীর অনুমতি চান। ওইদিন তাৎক্ষনিক আইনজীবী সেলিম ওসমানকে অনুমতি দেন। এ সংক্রান্ত একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়। ওই সময় সমিতির সেক্রেটারি পদে দায়িত্বে ছিলেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
পরবর্তীতে বছরের আইনজীবী সমিতিতে হাসান ফেরদৌস জুয়েল সভাপতি ও মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ার পর আইনজীবী সমিতির ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের জন্য যাবতীয় কাগজপত্রাদির সমস্যা নিরসনে কাজ করেন। আইন মন্ত্রনালয় থেকে সকল দাপ্তরিক কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করেন। একই সঙ্গে সকল দপ্তরের অনুমতি গ্রহণ করেন। এর জন্য জুয়েল মোহসীন দিন রাত দৌড়াদৌড়ি করেছেন। এসব কাজে আবার পেছন থেকে অনেকেই বাধা সৃষ্টি করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে পিছু হটেনি জুয়েল মোহসীন। তারা দুজন ডিজিটাল বার ভবনটি নির্মাণে অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেন। তাদের সবচেয়ে বড় সাহস জুগিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমানের অনুদান ঘোষণা। সেই সঙ্গে আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ও সমিতির বাহিরের অনেকের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন দিন রাত এই জুয়েল মোহসীন।
অবশেষে সেই ভবন এখন নির্মানের পথে। ৭ জুলাই রবিবারও আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্মাণ কাজ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষন করেছেন। নিয়মিত তারা দুজন প্রতিটি কাজ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছেন।