নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
শনিবার ( ২ নভেম্বর ) রাতে ঢাকা মিডিয়া ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত “৩রা নভেম্বর ভয়াবহ জেল হত্যা দিবস” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ৮৫তম দেশজ গানের আসর আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা মিডিয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া ।
সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ডাঃ লায়লা পারভীন বানু (গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক- মিনিস্টার জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সেলিনা আক্তার, এডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ( ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া (চেয়ারম্যান কম্বাইন্ড হাসপাতাল লিমিটেড), মোঃ জয়নাল আবেদীন (সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা সেন্ট্রাল আঞ্চলিক শাখা), মোঃ বাহার উদ্দিন (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন)
উপস্থাপনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্য সচিব রোকন উদ্দিন পাঠান।
উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৩রা নভেম্বরের শোকাবহ জেলহত্যা মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বক্তারা আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ৭৫ সালে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারই কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু পারেনি।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আস্হার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করতে পারবেন।আর স্বাধীনতা বিরোধীরা চায় বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে। তাদের সেই অপচেষ্টা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।