নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ও সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি পর থেকে সরকারী নির্ধারিত এমআরপি রেটে সকল ঔষধ বিক্রি শুরু হবে। ঔষধ কোম্পানী থেকে ২০ ভাগ কমিশন নেয়ার সুপারিশ করা হবে। কোন রকম লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসী দেয়া বা ঔষধ বিক্রি করলে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও বৈধ ঔষধ করলে কোন ভয় পাবেন না।
৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় নতুন জেলখানা বিপরীত দিক আমন্ত্রণ কমিউনিটি সেন্টারের বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৮ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল, কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য মোঃ দ্বীন আলী, পরিচালক সোলায়মান দেওয়ান, মহসীন পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, আব্দুর কাদের, নুরনবী, খোরশেদ আলম, বজলুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউল হক বুলু, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ ড্রাগ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নেফাউল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ ।
বার্ষিক সাধারণ সভায় ৪ বছরের অডিট রির্পোট পেশ করা হয়, সে গুলো উপস্থিত প্রায় ৫০৪ অধিক সদস্য হাত তুলে পাস করান। উদ্বৃত পত্রে চলতি বছরের শেষে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা রয়েছে।
নারায়নগঞ্জ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোঃ শাহজাহান খান বলেন, কেন্দ্রের কাছে দাবি করেন সরকারি নির্ধারিত এমআরপি মূল্যে সকল ঔষধ বিক্রি করতে চাই। মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিষিদ্ধ ও বেশি মূল্যে বিক্রি থেকে বিরত আছি, সব সময় থাকতে চায়। নারায়নগঞ্জে অনেকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ শিকার হয়, সে থেকে সকলে বিরত থাকুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকবো। শহরের প্রাণকেন্দ্র ডিআইটিতে অফিস রয়েছে, সেটি মূল্যে বর্তমান বাজারে দেড় কোটি টাকা অধিক।
নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেফাউল ইসলাম জুয়েল বলেন, দেশের ৩০০ টি ঔষধ কোম্পানি থেকে ফার্মেসীগুলোতে ঔষধ ক্রয় করতে হয়। ফলে অনেক ঔষধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। সে কারণে অনেক সময় মোবাইলে কোর্টের শিকার হতে হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ গুলো নিতে কোম্পানীর সেলসম্যানদের বলা হলে তারা নিতে অনিহা বা দেরি নেয়। অনেক ঔষধ সেবনে ভুল ভাবে ঔষধ খাওয়ানো হয়, সেটিতে ফার্মেসীগুলোতে দোষ পড়ে। ডাক্তাররা অনেক সময় পছন্দের ঔষধ লিখে দেন, কিন্তু সেগুলো বিক্রিতে অনেক সময় আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই ডাক্তাদের পছন্দের ঔষধ লিখনী থেকে বিরত রাখতে হবে। নারায়নগঞ্জে অনেক স্থানে ফার্মেসী রয়েছে, তাদের লাইসেন্স নাই। সে জন্য নতুনদের লাইসেন্স দেয়ার সুযোগ দিন। কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রতি অনুরোধ করে বলছি, ঔষধ প্রশাসন, ডাক্তার প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসনদের নিয়ে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার। ডাক্তারা অনেক কসমেটিকস ঔষধ দেয়া হয়, সে ঔষধ ফার্মেসীতে রাখার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট জরিমানা করা হয়, সে দিক গুলো থেকে পরিহার চাই।
অনেক সদস্যরা কেন্দ্রীয় সভাপতি কাছে দাবি তুলেন, ১৯৭৫ সালে ১৬ ভাগ লাভ পেতাম, কোম্পানি এখন তা কমে ১২ ভাগ পাচ্ছি। অনেক সময় এরও কম দিচ্ছে, ডাক্তারদের খুশি করে আমাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে লাইসেন্সপপ্রাপ্ত ফার্মেসী চেয়ে অবৈধ দোকান রয়েছে বেশি। এমআরপি দাবি মেনে নিয়ে আমাদের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীদের বাচাঁ অনুরোধ করি।