ডেস্ক রিপোর্ট: বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।
গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। এ সময় দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, নতুন ৬টি সঞ্চালন কেন্দ্র ও ৩১ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুৎ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ২০২১ সাল নাগাদ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো যাবে। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের ব্যবহারকারী ছিল ৪৭ ভাগ, আজ ৯৭ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে বাজেট দেয়ার সময় খুব গালভরা কথা বলত, গোপালগঞ্জের জন্য এটা দেব-সেটা দেব। আর বাজেট দেয়ার সময় টাকাগুলো কেটে নিয়ে যেত। সে সময় আমি নিজে যখন টুঙ্গিপাড়ায় গেছি সারাদিনেও বিদ্যুৎ পেতাম না। কিন্তু আমরা যখন উন্নয়ন করি তখন বিশেষ কোনো অঞ্চলের প্রতি অবহেলা করি না। কাজেই সেটার একটা দৃষ্টান্ত পাচ্ছেন- বগুড়া জেলায় ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আমরাই প্রতিষ্ঠা করেছি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে সংযুক্ত হন।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলাগুলো হলো-ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও বোয়ালমারি উপজেলা, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, ঝিনাইদহ সদর, মানিকগঞ্জ সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, সরাইল, আশুগঞ্জ, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া, কুমিল্লা জেলার বরুড়া ও মুরাদগঞ্জ, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর ও শিবালয়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর, নওগাঁর মান্দা, ধামরহাট, সাপাহার, নীলফামারির ডোমার, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি, রাজশাহীর বাঘমারা, সাতক্ষীরা সদর, সিলেটের জকিগঞ্জ ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা।