নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে আলোচিত সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় ২ বছর ১১ মাস পর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভীর ১৭ সমর্থকসহ ৪ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুব লীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহামিদা খাতুনের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন আদালত।
মামলার আবেদনে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খানকে মারধর, ২ লাখ টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামীরা হলো-নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নাসিকের ঠিকাদার আবু সুফিয়ান, কামরুল হুদা বাবু, মোতালিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, মেয়র আইভীর ছোটভাই ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী রেজা উজ্জল, ভাগিনা মিনহাজুল কাদির মিমন, আমিনুল ইসলাম (ইতোমধ্যে মারা যাওয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা), সাংবাদিক মাসুম, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল নেতা সরকার আলম, হাজী নেওয়াজ, সৈকত মেম্বার, ফারুক ও লিপু।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী শহরে হকারদের সঙ্গে মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যাওয়ার পথে শহরের সায়েম প্লাজার সামনে ব্যবসায়ী নিয়াজুল ইসলামের উপর হামলা করে অভিযুক্ত আসামীরা। হামলার সময় খোয়া যায় নিয়াজুলের লাইসেন্স করা অস্ত্র।
পরে সেটা উদ্ধারও হয় পরিত্যাক্ত অবস্থায়। ওই ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি মেয়র আইভীর ভাই ও সমর্থকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিয়াজুল ইসলাম।
তবে, পুলিশ তখন অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছিলো। এছাড়া ওই সময় নাসিকের আইনকর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দেন মেয়রকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ মডেল থানা কারো মামলা রেকর্ড না করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।