নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতির শিকার এবং জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কো’র ২৬তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের সুপারিশ করা হয়। পরে সেই সুপারিশের আলোকে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।
এমন এক সময়ে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন হচ্ছে যার দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর রিপোর্টে গত বছরের তুলনায় আরও একধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৫১তম। আর ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। অর্থাৎ, গতবারের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিলো।
এই সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার তথ্য দেওয়া হয়। জানানো হয়, সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভুটানের অবস্থান ৬৫তম, আফগানিস্তান ১২২তম, নেপাল ১০৬তম এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১২৭তম। এছাড়া মিয়ানমার ১৪০তম, ভারত ১৪২তম এবং পাকিস্তান ১৪৫তম।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমের প্রকৃত স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা, পেশাগত ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন।