নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
শত প্রতিকূলতা আর প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে ঢাকার রাজপথে গর্জে উঠলো নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডাকা মহা সমাবেশ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা প্রবেশের প্রতিটি মুখে পুলিশের কঠোর অবস্থান আর তল্লাশী, ৭৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন বন্ধ রাখার পরেও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র ঢাকামুখী স্রোত কোনভাবেই ঠেকানো যায়নি। বরং ‘বাঁধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’ শ্লোগান বুকে ধারন করে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকার রাজপথে সমুদ্রের গর্জণ তুলে নিজেদের সফলতার প্রমাণ রাখতে পেরেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মহা সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুদিন আগে থেকেই নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু নারায়ণগঞ্জের পুলিশ। গত ৫ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক এমএ আকবরসহ প্রায় ডজনখানেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও ডিবি। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় একাধীক নতুন মামলাও দায়ের করা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
মহা সমাবেশের দিন মঙ্গলবার ৬ নভেম্বর সকাল থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন বন্ধ রাখা হয়। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিড়ম্বনায় পরতে হয় নেতাকর্মীদের। বাসে করে যাওয়ার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পুলিশের কড়া চেক পোষ্টে আটক করা হয় ৭৭ জন নেতাকর্মীকে। বাঁধা দেওয়া হয় ঢাকা যেতে। কিন্তু কোন প্রতিবন্ধকতাই রুখতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের। যে ভোবে পেরেছে নিজ উদ্যোগে ঢাকা গিয়ে মহা সমাবেশে বিশাল শোডাউন করেছে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়াসহ আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে শ্লোগানে শ্লোগানে মূখর করে তুলে ঢাকার রাজপথ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার, সাবেক সাংসদ মো: গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সহ সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয় এবং দুপুর একটার পর থেকে একে একে বিশাল মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে প্রবেশ করে। নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। সকলের মুখেই ছিলো একটিই শ্লোগান আর তাহলো খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।