স্টাফ রিপোর্টার: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বক্তাবলী চর বয়রাগাদী এলাকার মোঃ নবীর হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পরে আহতের ছেলে বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী মোঃ নিহাদ উল্লেখ করেন, বিবাদী ১। মোঃ মিলন (২৪), পিতা- মতিউর রহমান @ জজ মিয়া, ২। মতিউর রহমান জজ মিয়া (৬৫), পিতা- মৃত দুদু মিয়া, ৩। মোঃ সাব্বির (২২), পিতা- মোঃ দেলোয়ার, ৪। মোঃ দেলোয়ার (৪৫), পিতা- সাদেক আলী, ৫। ইমন (২৪), পিতা- মাছুম, ৬। মাছুম (৫০), ৭। মোঃ সালাউদ্দিন (২৮), উভয় পিতা- সাদেক আলী, ৮। সুলতান (৩৫), পিতা- মৃত আরব আলী, সর্ব সাং চর বয়রাগাদী, (বক্তাবলী), থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জদের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতা চলিয়া আসিতেছিল। ইং ৩১/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় আমার পিতা মোঃ নবীর হোসেন (৫৭) পার্শ্ববর্তী গ্রামে তাহার ফুফাতো ভাই আফাজ উদ্দিন (৫২) এর বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়া বেলা অনুমান- ১১.৩০ ঘটিকার সময় ফুফাতো ভাই এর বাড়ীর পিছনে কাঁচা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে উল্লেখিত বিবাদীরা হাতে ধারালো চাপাতি, লোহার রড, বাশের লাঠি ইত্যাদি। সহকারে বে-আইনী ভাবে দলবদ্ধ হইয়া আমার পিতাকে চারিপাশ থেকে ঘিরিয়া ফেলে। এক পর্যায়ে বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়া আমার পিতাকে এলোপাতাড়ী ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া নীলা ফোলা জখম করে। ২নং বিবাদীর হুকুমে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া আমার পিতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার পিতা উক্ত কোপ তাহার ডান হাত দিয়া প্রতিহত করিলে তাহার বৃদ্ধা আঙ্গুলের উপরে লাগিয়া আঙ্গুলটি দি-খন্ডিত হইয়া যায়। ৩, ৪ ও ৫নং বিবাদীগণ তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার পিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া নীলা ফোলা জখম করে। ৬নং বিবাদী আমার পিতার লুঙ্গীর কোচরে থাকা নগদ ৫০,০০০/- টাকা নিয়া নেয়। আমার পিতার চিৎকারে আমার পিতার ফুফাতো ভাই আফাজ উদ্দিন (৫২) সহ আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা এই মর্মে হুমকি দেয় যে, এই ঘটনার বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করিলে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবো। সংবাদ পাইয়া আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং আমার পিতাকে স্থানীয় লোকজনদের সহয়তায় তাহাকে সিএনজি যোগে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নিয়া ভর্তি করি। বর্তমানে আমার পিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিয়াছে। আমার পিতা একটু সুস্থ হইলে তার নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া থানায় আসিয়া এজাহার করিতে বিলম্ব হইল।
এদিকে, ভিকটিম নবীর হোসেনের পুত্র নিহাদ এ প্রতিনিধিকে বলেন- সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তারা আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে আমরা আতংকে দিন যাপন করছি। আমরা চাই দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হউক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন- আমার সামনে লোক আছে, তাই মামলার স্বার্থে সব কথা এখন বলা যাবেনা। পরে কথা বলবো।