নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ( ঢাকা বিভাগ ) সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, আজ সব খুনি ঐক্যবদ্ধ। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের ঘ্রাণ পাচ্ছি। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বর্ধিত সভা চলে।
মির্জা আজম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা বলেছেন তার এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের চেতনা আসছে না। আমাদের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচন ঘিরে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ পাকিস্তানে রূপ নেয়নি। শেখ হাসিনার জন্ম না হলে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারতো না। শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও ২৫ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা কেটে যাবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মির্জা আজম বলেন, এই বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে হত্যা করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান ছিল না। শেখ হাসিনা যদি দেশে প্রত্যাবর্তন না করতেন এতদিনে এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়তো তারা। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগেল সদস্য আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সাংসদ ও পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ( বীর প্রতীক ), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত, সাবেক নারী সাংসদ এড. হোসনে আরা বেগম বাবলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, আবদুল কাদির, আরজু রহমান ভূঁইয়া, এড. আসাদুজ্জামান আসাদ, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, মীর সোহেল আলী, আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল হুদা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, সদস্য হাজী শওকত আলী, এম এ রশিদ, মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, মোজাহিদুল ইসলাম হেলো সরকার, হাজী আমজাদ হোসেন, খন্দকার আবুল বাশার টুকু, শামসুজ্জামান ভাষানী, মো. শহিদুল্লাহ, মতিউর রহমান, সাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।