নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ বিগত সংসদ নির্বাচনে সরকারী দলের ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৭দফা দাবী অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণ অনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচী পালন করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ গণঅনশন কর্মসূচী পালন করা হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান সরকারি দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সবগুলো সংবিধান স্বীকৃত, যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত অধিকার। সংসদের চলমান অধিবেশনে আইন করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সংখ্যালঘু ও জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান হতাশা দূর করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর বোর্ড গঠন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, পৃথক পৃথকভাবে হিন্দু ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ফাউন্ডেশন, খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন গঠন অত্যন্ত ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক দাবী৷
পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন করতে হয় না। কিন্তু, দুঃখজনক ঘটনা যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চললেও সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটিও বাস্তবায়ন করেনি। যার দরুন বাধ্য হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রাস্তায় নেমে বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে৷
বক্তারা আরও বলেন, সংসদের চলমান অধিবেশনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ৬ই অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দেওয়া হবে।
তাছাড়া বক্তারা বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ঘরে ফিরে যাবে না।
সন্ধ্যার আগে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাসকে পানি পান করিয়ে গণঅনশন ভাঙ্গায় মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক এড. ওয়াজেদ আলী খোকন ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় গন অনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জ জেলা বার সমিতির সহ সভাপতি রবিউল আমিন রনি, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ সাহা,তাতীলীগের আহবায়ক কাজী শাহেদ, জাসদের শফিকুল ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, জেলার সহ সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেসন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড সৌরভ দেউরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক সরকার, মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, রূপগঞ্জ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রমাকান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল শর্মা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন সরকার, সোনারগাঁ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক সহদেব দাস শিশির, বন্দর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুজা পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, ফতুল্লা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক রাজীব তালুকদার, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্য,বন্দর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হরি সাহা, সহ সভাপতি নারায়ন বর্মন, সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সুত্রধর, আড়াইহাজার উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারাধন দে, সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়, জেলার নেতা অসিম বড়ুয়া, পিন্টু রায়, সুমন সাহা, তপন ঘোষ, নিহাররঞ্জন ভৌমিক, শারদাঞ্জলী ফোরাম নারায়নগঞ্জ জেলার সভাপতি আশিষ দাস, সাধারন সম্পাদক উৎপল সাহা, জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ দাস কাজল, সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ কুমার সেরাওগী সুমন,সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন দত্ত বিল্লু, ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রণয় সিংহ, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন দেবনাথ, বিপ্লব কুন্ডু, প্রশান্ত কুমার সাহা, অজয় সুত্রধর, সোনারগাঁ উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাজিব দাস, সাধারণ সম্পাদক লিটন ভৌমিক, বন্দরের সভাপতি তুলশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জিতু দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি সঞ্জয় পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বর্মন, রুপগঞ্জ উপজেলার সভাপতি বাবুল শীল, সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল, আড়াইহাজার উপজেলার সভাপতি সুকান্ত ভৈামিক অটল, সাধারণ সম্পাদক রিপন কর, ১৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি পংকজ রায়, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস, ১৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি সমীর দেবনাথ, ইসকন মন্দিরের মদনমোহন দাস প্রভুসহ নেতৃবৃন্দ।