ডেস্ক রিপোর্ট:
কোনো প্রকার প্রলোভন ভয়-ভীতিতে নতি শিকার না করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম থেকে জানতে পরলাম প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি করা হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে পুলিশ তাদের যেন হয়রানি না করে, এবং তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রার্থীর এজেন্টের দায়িত্ব অনেক। তারা প্রার্থীর প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা প্রার্থীর স্বার্থ বিবেচনা করে নির্বাচনের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। কেউ যদি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে নির্বাচনের চিত্র দেখতে পাই। তারা সংবাদ পরিবেশনকালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাজে যেনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনাদের কারণে যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আপনাদের জন্য যেনো কোনো প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এবং তারা যেন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। রাজনৈতিক দল প্রার্থী আমাদের সমর্থক কলাকৌশলী গণকে বারবার অনুরোধ করেছি যেন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন। ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেন। নির্বাচনী প্রতিযোগিতা যেনো সহিংসতার পরিণত না হয়।
কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি তবুও নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এগুলো আমাদের কাম্য ছিলনা। সহিংসতার কারণে যেখানে ফৌজের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, বিগ্রে. জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।