নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ -৪ ( ফতুল্লা – সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের চেয়ে সমাজে ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন সাংবাদিক ও আইনজীবীরা। আইনজীবী আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে দাঁড়াতে পারে নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে। যদি সে মনে করে এটি শুধু তার ব্যবসা নয় সমাজের প্রতিও তার দায়বদ্ধতা আছে। আর সাংবাদিক যদি মনে করেন কলমের লেখনি দিয়ে ভালো কাজে লাগাবো তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। এই দুটি শক্তি এক হলে সমাজে যারা খারাপ কাজ করছেন তারা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে।
পৃথিবীতে কেউ ফাইনাল না৷ আমার আগে যিনি আসছেন তিনিও না, পরে যে আসবেন তিনিও না। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়াটা ফাইনাল৷ আমরা যদি আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমার নিজের মৃত্যুতেও শান্তি থাকবে৷ মানুষ ভালো কাজ করলে মৃত্যুর পরেও তাকে মানুষ মনে রাখে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রত্যাশা করে একটি মেডিকেল কলেজ, পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক মানের স্কুল, রাস্তাঘাটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন৷ এসবের জন্য যদি নারায়ণগঞ্জের সকল শক্তিগুলো এক থাকেন তাহলে আমরা এই দাবিগুলো নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য পূরণ করতে পারবো৷ আমার বিরোধিতা করলেও সমস্যা নাই৷ কিন্তু সবাইকে ভালোর জন্য কাজ করতে হবে।
বার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বলার নাই৷ তারা জানেন, তাদের কি করতে হবে৷ আমিও আইনজীবী কিন্তু আমি এখানে ভোটার না৷ আমি ভোটার হলে চিন্তা করতাম, বারের সমস্যা, আইনজীবীদের যে সমস্যা সেই সমাধান করতো কে? সেই সমস্যা সমাধানের জন্য যারা কাজ করবেন তাকেই আমি ভোট দিতাম৷ সে অনুযায়ী আমাদের জুয়েল-মোহসিন প্যানেলের সবাইকে ভোট দিতাম। কেননা তাদের ভোটটা দিলে এই কাজগুলো করতে সুবিধা হতো৷ তবে আমি মনে করি নারায়ণগঞ্জ বারের দায়িত্ব এইটুকু না৷ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা বারের দায়িত্ব।
সংসদ সদস্য বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদদের বাইরে সাংবাদিক ও আইনজীবী এই দুইটা শক্তি খুব ব্যাপকভাবে রাখতে পারে৷ এরা রাজনীতিবিদদের থেকেও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হোসনে আরা বেগম বাবলী, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা কৃষক লীগের নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম চেঙ্গিস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ , জামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হামীম শিপলু, সমমান্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ।