নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : বিএনপির ডাকা অবেরাধ বিরোধী শান্তি শোভাযাত্রায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমান তনয় যুবনেতা আজমেরী ওসমান তার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রাজপথে বিশাল শোডাউন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর এলাকায় প্রদক্ষিণকালে বিশাল বহরটিকে ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। এছাড়াও বন্দরবাসীর পক্ষে যুবনেতা আজমেরী ওসমানকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় স্থানীয়রা।
এরআগে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে জড়ো হতে শুরু করে। পরে যুবনেতা আজমরেী ওসমান কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বন্দর এলাকার উদ্দেশ্যে রউনা হন। তার পিতার নামকরণে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু হয়ে তিনি বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশাল গাড়ি বহরে করে শান্তি শোভাযাত্রাটি প্রদক্ষিণ করে। এসময় তাকে সড়কে সড়কে ফুল ছিটিয়ে স্থানীয়রা বরণ করে নেয়। কেউ কেউ কুশল বিনিময় করেন।
এরপর বন্দর ঘুরে চাষাঢ়া, সিদ্ধিরগঞ্জ, চিটাংগরোড, সাইনবোর্ড, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডসহ আশেপাশের সড়কগুলোতে শোডাউন দেন। সকল নেতাকর্মীরা পথে পথে স্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে এই বলে, জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই। ডাক দিয়েছে আজমেরী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই। আজমেরী ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আছি একসাথে। সাত তারিখ সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুবনেতা আজমেরী ওসমান বলেন, সাধারণ মানুষের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় সত্যিই আমি অভিভূত। আমি কোনো কিছু পাওয়ার লোভে নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে শান্তি শোভাযাত্রা করছি। হয়তো আমার শুভাকাঙ্খি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসংখ্য লোকজন একেএকে স্বেচ্ছায় সুশৃঙ্খলভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে, যা চোখে পড়ার মত। যেখানে এখন পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা কিংবা অরাজকতা দেখা যায়নি। বরং আমরা শান্তি ও বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া দেশের উন্নয়নের বার্তা সর্বত্রে পৌছাচ্ছি।
তিনি আরো যুক্ত করেন, বিভিন্নসময় যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে। আর সেই বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আমাকে নিয়েও স্বাধীণতা বিরোীরা চক্রান্ত চালাচ্ছে, সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মত আমি শুধু সক্রিয় অবস্থান নিয়ে নিজ দায়িত্ববোধ থেকে শান্তি শোভাযাত্রা কর্মসূচী পালন করছি।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে সঙ্গে ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আমীর, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ প্রধান, শ্রমিক নেতা রহমত উল্লাহ, নাসির, সুমন, খায়রুদ্দিন মোল্লা, মনির হোসেন, আকতার নুর, হোসেন রেজা, সেন্টু রহমান, ইফতিসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী।