নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল বলেছেন, আমাদের উপরে নির্দেশ যারা যেখানে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা করবে আমরা সেখানে শান্তির পতাকা নিয়ে যাব। এবং জনগণকে নিয়ে আমরা পটাক দিব কোন আপোষ হবে না, লড়াই হবে। এ লড়াই মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা লড়াই। এ লড়াই শান্তির লড়াই, শান্তির পতাকা উড়ানোর লড়াই।
শনিবার ( ৮ এপ্রিল ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিএনপি- জামাত- শিবিরের রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বঙ্গবন্ধু বাজার আগুন লাগানোর ঘটনা আমি তো শুনলাম কেউ আওয়ামী লীগকে দায়ী করে। ফিসফিস করে মানুষ বলে ওই তো অগ্নি সন্ত্রাস গিরিধারীদেরই কাজ ধরে নিয়ে রিমান্ড দেন সব কথা বের হয়ে যাবে। বাংলাদেশের জায়গায় জায়গায় খালি আগুন লাগে অগ্নি সংযোগ ঘটে কারা এগুলো লাগায়। কেন এই আগুন লাগে কিভাবে লাগে। আগুন লাগিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন না। ক্ষমতাচ্যুত জন্য করতে হলে ধ্বংসত্ব বন্ধ করতে হবে, ভোটের লড়াইয়ে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে যদি ক্ষমতা আসতে পারেন আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে স্যালুট জানাবে। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে রাজনীতি করে। মানুষের শান্তির জন্য মঙ্গলের জন্য নেত্রী ডাক দিবেন আমাদের খোকন ভাই ঘরে বসে থাকার সময় নাই। ডাক দিয়েছেন শামীম ভাই ঘরে থাকার সময় নাই।
তিনি আরও বলেন, আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সময় তো আর বেশিদিন নাই । কয়েকদিন পরে নির্বাচন চল আসছে আর বিএনপি আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকেন আগামী দিনে গণতন্ত্র লড়াইয়ের জন্য। আগামী নির্বাচনে আপনাদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করবেন। জনগণের সেবা করার সুযোগ দিবেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহমেদ দুলাল’র সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান সোহেল, সদস্য শিখণ সরকার শিপন,১২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর তাঁতীলীগের আহবায়ক চৌধুরী এইচএম শাহেদসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।