নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীণ ভূইগড়ের মাহমুদপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সীমানা জটিলতায় স্থানীয় শুক্কুর গ্রুপের করা পিটিশন মামলায় আদালতের ১৪৫ ধারা কার্যকর করতে শনিবার ২০ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঈদগাহের বিবাদমান ১৪ শতাংশ জায়গায় আগামী ৪ মে পর্যন্ত কোন প্রকার নির্মাণ কাজ করা যাবে না মর্মে আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ঈদগাহ ও কবরস্থান কমিটির লোকজনসহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন ও মামলার বাদী-বিাদী উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে আগামী ২৩ মার্চ সীমানা জটিলতা নিরসনে আমিন দিয়ে উভয়ের জায়গা পরিমাপ করে আপোষ মিমাংসার দিন ঠিক করেন এএসআই সিরাজুল ইসলাম। সে মতে ঈদগাহের ঐ ১৪ শতাংশের উপর নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা পিটিশন মামলা নং- ২১১/২১।
তবে ঈদগাহ এর নির্মাণ কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্যে স্থানীয় শুক্কুর গ্রুপের লোকজনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ এর জন্যে সকলের মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার পরিবর্তে তাদের বিঘ্ন সৃষ্টির বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না তারা এবং অবিলম্বে কবরস্থানসহ ঈদগাহের জায়গা নিয়ে শুক্কুর গ্রুপের এহেন অমানবিক কার্যকলাপ বন্ধের আহবান জানান তারা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাহমুদপুর ঈদগাহ্ ও কবরস্থান কমিটির সভাপতি আঃ রহমান বিশ্বাস, সহ- সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য জি.এম আমির হোসেন সাগর মেম্বার, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব রাজা মিয়া আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল আমিন, কবরস্থান কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল হোসেন, ঈদগাহ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন পায়েল, মো. নুরুজ্জামান, কবরস্থান কমিটির যুগ্ম রহমতুল্লাহ জুয়েল, আঃ ছাত্তার, প্রচার সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, সদস্য আহমদ উল্লাহ, অহিদ আলম, মিনাল হোসেন, দেলোয়ার কন্ট্রাক্টর, আতাউর রহমান মোল্লা, নাজিম উদ্দিন, শান্ত হান্নানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।