নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী চন্দন শীল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ণপত্র জমা দেননি। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ১৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী চন্দনশীল ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন পত্র দাখিল না করায় বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। শুধু ঘোষণা বাকী।
মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের কাছে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল। তিনি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠবন্ধু চন্দনশীল ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলায় দুই পা হারান। চিরতরে পঙ্গত্ববরণ করলেও রাজনীতির মাঠ ছাড়েননি তিনি। সক্রীয়ভাবে দলীয় সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন চেয়ারম্যান পদে একজন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ১ জন ও ৫নং ওয়ার্ডে ১জন। সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে ৩ জন ও ২নং ওয়ার্ডে ৫ জন।
প্রসঙ্গত: ১৮সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই। ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণ।