নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মন্তব্য করে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
বুধবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি ) এক বিবৃতিতে নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘ ৯ মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দেশে থেকে লড়াই করেছেন । বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে । তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি, এই সরকারের অপকর্ম এবং যে সমস্ত দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসছে বিভিন্নভাবে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।