নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
ফতুল্লায় দুই লাখ টাকা আত্মসাত করতে ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীকে (৫২) পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ায় হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলীসহ দুইজনকে ৩দিন করে রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ৭দিন রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালতে রিমান্ড শুনানী শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে শুক্রবার একই হত্যাকান্ডে মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী ফয়সাল (২৮) হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো.কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।
নিহত কামরুজ্জামান সেলিম ওরফে সেলিম চৌধুরীর বাড়ি ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মৃত সামছুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। আর সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী আলীরটেক ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে ও সোলয়মান গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানকে ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। সোমবার রিমান্ড শুনানীতে আদালত তাদেরকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মামুন আল আবেদ জানান, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর দুই লাখ টাকা আত্মসাত করতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলী তার লোকজন নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মোহাম্মদ আলীর গোডাউনে মাটিতে পুতে রাখে। লাশে পাশে চুন দিয়ে রাখে যাতে করে লাশ মাটির সাথে মিশে যায়।
মোহাম্মদ আলীর পরিকল্পনা মোতাবেক ৩১ মার্চ বিকেলে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলীর ফতুল্লার ভোলাইলের ঝুটের গোডাউনে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল, আলী হোসেন ও সোলয়মানসহ ৪জন মিলে সেলিমের হাত পা বেধে উলঙ্গ করে প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে রাখে। পরে গোডাউনের ভিতরে একটি গর্ত করে মাটিতে পুটে রাখে।
তিনি আরো জানান, সেলিমকে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে সেখানে চৌকি রেখে ৯দিন ফয়সাল ঘুমিয়েছে। ১০দিনের দিন ১০ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং ভোলাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী, সোলয়মান ও ফয়সালকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।