নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের জন্য নির্মাণাধীন ডিজিটাল বার ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মো: মোহসীন মিয়া।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আইনজীবীদের সাথে নিয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
এ সময় জেলা বারের সেক্রেটারী এড. মোহসীন বলেন, দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা ভালোবেসে যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছিলো, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তা রক্ষা করতে। একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল বার ভবনের স্বপ্ন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা দীর্ঘদিন থেকে লালন করে আসছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েলের নেতৃত্বে আমরা সে স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে সে স্বপ্ন আজ মাথা তুলে দাড়িয়েছে, একদিন পুরোপুরি একটি ডিজিটাল বার ভবন পেয়ে যাবেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা আর এ মহৎ কর্মযজ্ঞের সহজ করে দেওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সেইসাথে অর্থ সময় আর সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে এই ভবন নির্মাণে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের অভিভাবক নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমরা নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা তার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। উনার মতো একজন দানশীল মানুষ পাওয়াতে আজ আমরা বারের একটি টাকা ব্যবহার না করেও নিজেদের জন্য একটি অত্যাধুনিক বার ভবন পেয়ে যাচ্ছি। তাই সাংসদ সেলিম ওসমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আর সবচেয়ে বেশী অনুপ্রেরণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বারের সকল আইনজীবীগণ, তাদের ভালোবাসা না পেলে হয়তো কোন কাজই সফলভাবে শেষ করতে পারতাম না। তাই আমার সকল সহকর্মী আইনজীবী ভাইদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, এভাবেই সুখে দু:খে সব সময় যেন সবাইকে কাছে পাই।
নারায়ণগঞ্জ বারের উন্নয়নের বানী শুনিয়ে প্রতিবারেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেন আইনজীবী নেতারা। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়নের সুফল পাচ্ছিলেন না সাধারণ আইনজীবীরা। বিশেষ করে একটি আধুনিক বার ভবন নির্মাণ ও দুই কোর্ট একত্রে রাখার বিষয়ে বছরের পর বছর সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করেননি। কিন্তু গত ২০১৭-১৮ মৌসুমের বার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও এড. মোহসীন মিয়া নতুন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি আইনজীবীদের বরং পুরানোদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। একটি ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে ভেঙ্গে ফেলেন পুরানো জরাজীর্ণ বার ভবনটি। ফলে পরবর্তী এ জুটির উপরই ভরসা রাখেন আইনজীবীরা এবং জুয়েল-মোহসীন প্যাণেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জণ করে।
নির্মাণকাজ পরিদর্শণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান এবং অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শেখ জসিম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট লিয়ন ইসলাম, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ বার নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল আর সাধারণ সম্পাদক এড. মোহসীন মিয়ার জন্য অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং ছিলো কারন হচ্ছে আইনজীবীদের জন্য নির্মানাধীণ ডিজিটাল বার ভবন। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিলো এবং নতুন ভবন নির্মাণের কাজ নির্বাচনের পরেই শুরু করা হবে। আর এ অসমাপ্ত কাজ সফলভাবে শেষ করতে হলে জয়ের কোন বিকল্প ছিলো না জুয়েল-মোহসীনের সামনে।
বারের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছেন বর্তমান সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক এড. মোহসীন মিয়া। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান এই ভবন নির্মাণের জন্য তিন কোটি টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেছেন। সেই সাথে দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক কোটি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এক কোটি টাকা দেবেন আইনজীবীদের এই ভবন নির্মাণের জন্য। ইতিমধ্যেই সাংসদ সেলিম ওসমানের প্রতিশ্রুত টাকার মধ্যে তিন দফায় দুই কোটি টাকা পেয়েও গেছেন তারা। আর এ টাকা দিয়ে শুরু করে দেন আইনজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ যা এখন নীচের কাজ শেষ হয়ে উপরে আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়।