নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলে বাড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ জর্জরিত। লাঙলের জোয়াল কাঁধে আর আমরা বইতে চাই না। আমাদের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ সদর ও সোনারগাঁয়ে আজ নিঃশ্বাচিত ও নির্যাতিত। আমাদের ভোট দিয়ে তারা বিজয়ী হয়। নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির দুই পার্সেন্টও ভোট নাই। জোটের খাতিরে আমাদের নেত্রী দয়া করে তাদেরকে দেয় বলে তারা এখানে পাস করে। এবার আমরা কঠোর ভাবে নেত্রীর কাছে আবেদন করব নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে যেন নৌকা দেওয়া হয়। আগস্টের পরে আমাদের নেত্রীর সাথে আমাদের সাংগঠনিক বিষয় মিটিং আছে আমরা সেই মিটিংয়ে এই বিষয়গুলো আগে থাকতেই উপস্থাপন করব। গত ১১ আগস্ট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
সোমবার ( ১৫ আগস্ট ) বাদ জোহর মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় । এসময়ে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয় । পরে অসহায় দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় ।
আবদুল হাই বলেন, সামনে হয়তোবা জাতীয় পার্টি আমাদের জোটে থাকবে না অথবা থাকতেও পারে। যেহেতু নির্বাচনে এখনো আরো দেড় বছর বাকি রয়েছে। সুতরাং আগেভাগে নেত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে নৌকার জন্য অনুরোধ করবো। জাতীয় নির্বাচনের অনেকটা সময় আছে আগেভাগে যদি আমরা নেত্রীর কাছে বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারি নেত্রী আমাদের নেতাকর্মীদের বিষয়টি বিবেচনা করে হয়তোবা পাঁচটি আসনে নৌকা দিবে এমনটাই আশাবাদী। যদি জাতীয় পার্টি জোটে থাকেই তাহলে তাদেরকে এই দুটি আসন অন্য কোন জেলায় দিয়ে দেক । আমাদের কোন আপত্তি নাই কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আর না।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর ও সোনারগাঁয়ে আমাদের অনেক বহু পুরনো নতুন লোক ও ত্যাগী নেতাকর্মীর রয়েছে। যাদের এমপি হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। সুতরাং আগেভাগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা নেত্রীর কাছে যাবো এবং অনুরোধ করবো। যাতে করে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়।