নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে দাঁড়াতে দিলো না পুলিশ । পুলিশের বাঁধার মুখে কর্মসূচি পালন করতে না পেরে অবশেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ।
রোববার ( ১৩ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পিছনে চাষাঢ়া বালুর মাঠ
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি জনসমাবেশের আয়োজন করেন ।
জনসমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকে । সকাল দশটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ কর্মসূচি না করার জন্য শাসিয়ে যায় ।
এর কিছু পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আসলে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে । এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশের ট্রিম এসে বাঁধা দেয় এবং মামুন মাহমুদসহ নেতাকর্মীদের কলার ধরে টেনে হিছরে নিয়ে যেতে থাকে । পরে কর্মসূচি করবে না বললে তাদেরকে ছেড়ে দেয় । পরে পুলিশি বাধার মুখে টিকতে না পেরে স্থান ত্যাগ করেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। আমরা আগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি । অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয় । একটি গনতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকার রয়েছে স্বাধীনতা ভাবে মত প্রকাশ করার । কিন্তু এ সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে । একটি স্বাধীন দেশে পুলিশের এ ব্যবহার কাম্য নয় ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) আসাদুজ্জামান জানান, রাস্তা বন্ধ করে তাদেরকে কর্মসূচির পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি । তারা রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ এসে সরিয়ে দেয় ।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রনি, সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সহ-সভাপতি মাহমুদুল রহমান সুমন, যুগ্ম সম্পাদক এম এ আকবর, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা তাতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিউল্লাহ খোকন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি প্রমুখ ।