নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় যে জামাতটি চাষাড়া ঈদগাহে হবে সেটাকে বিশেষ নিরাপত্তার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঈদগাহের চতুর পাশে চেক পোস্টে অভিযান চলবে।
ঈদরে আগেই আজ থেকে সেখানের আশে পাশে প্রতেকটা বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চলবে। বাড়িওয়ালার থেকে কাজের লোকের তথ্য আমরা যোগাড় করব। সেখানে সিসি টিভি থাকবে। আমাদের কন্ট্রোল রুম থাকবে।
জামাতে কেউ যেন জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে না যেতে পারে সেই দিকে আমাদের খেয়াল থাকবে। শত শত পুলিশ সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেসে জামাতের ভিতরে থাকবে।
আর মাঠের বাহিরে ৩০০ এর বেশি পুলিশ থাকবে। ডিবির স্কোয়াড টিম থাকবে। তাৎক্ষনিক কোন ঘটনা ঘটলে তারা সেখানে মুভ করবে। আমাদের অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। আমরা ডাক্তার চেয়েছি। আমরা মনে করি কোন থ্রেট নেই আমাদের।
সোমবার (৩ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার হারূন অর রশিদ প্রেস বিফিং করে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জেলায় অনেক গুলো ঈদের জামাত হবে। সবগুলোর জন্য নিরাপত্তা প্রোগ্রাম করেছি। তবে আমাদের মূল যে সবচেয়ে বড় জামাত চাষাড়া ঈদগাহ মাঠে ও স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
ঢাকা থেকেও ফোর্স চেয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামা কে গুরুত্ব দিয়েছি। যেমন আমাদের মন্ত্রী মহোদয় নামাজ পড়বেন মুড়াপাড়া কলেজে সেখানে আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। আমাদের এমপি মহোদয়রা যে যেখানে নামাজ পড়বেন সেখানেই গুরুত্ব সহকারে নিরাপত্তা দিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় জামাত হবে আর সেটিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ নিশ্চিত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে নামাজ পড়তে পারবে।
অন্যান্য যে জামাত গলো রয়েছে, বিশেষ করে খানপুর, জিমখানা এরকমনারায়ণগঞ্জের সবগুলো ঈদগাহ মাঠকে আমরা নিরাপত্তায় নিয়েছি। আমাদের সিনিয়র অফিসারাও মাঠে থাকবে।
পুলিশের কোন ছুটি নেই। সমস্ত পুলিশের কাজই হবে রাস্তায় থেকে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার। সমস্ত জামাত গুলো খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সেই লক্ষে আমাদের কাজ হবে।
মতবিনিময়ের পূর্বে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও ঈদ জামাতের নিরাপত্তা সংক্রান্তে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি মিটিং করেন।
উক্ত মিটিংয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক তদন্তসহ জেলা বিশেষ শাখা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে পুলিশ সুপার ফতুল্লা থানাধীন জামতলা এলাকার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও স্টেডিয়াম মাঠ পরিদর্শন করেন।
এরপরে সদর মডেল থানাধীন জিম খানা ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন এবং রাসেল পার্ক হয়ে সর্ব শেষে খানপুর ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন।