নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
দেবীর আরাধনা, সিঁদুর খেলা, নাচ গান, আরতি প্রতিযোগিতা আর দেবী বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে শেষ হলো সানতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
মঙ্গলবার ( ৮ অক্টোবর ) নগরীর বিআইডব্লিউটিএর ৩ নং ঘাটে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার আয়োজন করা হয় ।
এ ঘাটে শহরের বেশিরভাগ মণ্ডপের প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন।
বিজয়া দশমীতে অর্থাৎ শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতার শুরু থেকেই নগরীর মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের ভিড় ছিলো।
প্রতিমার বিসর্জনের পূর্বে বিকেলে শহরের রামকৃষ্ণ মিশন, আমলা পাড়া পূজা মন্ডপ, উকিল পাড়া হোসিয়ারি পূজা মন্ডপ, সাহা পাড়া পূজা মন্ডপ, নতুন নয়া মাটি পূজা মন্ডপ সহ বেশে কিছু মণ্ডপে চলে নারীদের সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব।
মণ্ডপের পাশাপাশি, প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও বিসর্জন স্থলে নেয়ার পথকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি, সাদা পোশাকধারী পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি টিম, সিভিল সার্জনের মেডিকেল টিম সদস্যরাও নিয়োজিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব দেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে । যা বুঝিয়ে দিয়েছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এবারে পুজোয় আনন্দের কোন কমতি ছিলো না।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে এবার ২০৫টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে । কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে । এতেই বোঝা যায় নারায়ণগঞ্জ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা । সকল উৎসব আমরা একসাথে উৎযাপন করে থাকি । শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জাতীয় পরিষদের সদস্য বাসুদেব চক্রবর্তী, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টিজ পরিতোষ কুমার সাহা,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, নাসিক ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, নাসিক ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, মহিলা কাউন্সিলর শারমিন হাবীব বিন্নি, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা হিন্দু সংস্কার সমিতির সভাপতি কমলেশ সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, প্রকার সম্পাদক তপন ঘোপ সাধু, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার দাস, বন্দর কমিটির সভাপতি শংকর দাশ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি শিশির ঘোষ অমর প্রমুখ ।