যখন ক্রিকেট খেলতেন, তখন তার নেতৃত্বের সুনাম ছিল বিশ্বজোড়া। সেই সৌরভ গাঙ্গুলীই কিছুদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজন করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এত এত চমক দেখিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ এখন সুপারহিট। ইডেন টেস্ট দুই দিন ৪৫ মিনিটে শেষ হলেও উদ্ভাবনী সব পরিকল্পনার কারণে সৌরভ এখন সারা ক্রিকেটবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছেন। আজ ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, গত কয়েকদিন তিনি বিশ্বের ব্যস্ততম মানুষ ছিলেন।
ইডেন টেস্ট সফল হতেই প্রশান্তি খেলা করছিল তার চোখ-মুখে। ম্যাচ শেষের পর সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে হয় পৃথিবীর ব্যস্ততম মানুষ ছিলাম। এতদিন দম ফেলারও ফুরসত পাইনি। ইডেনে খেলা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। এতেই আমি খুশি। খেলা তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ঠিকই, তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছিল আগেই। সব মিলিয়ে ইডেন টেস্ট সুপার-ডুপার হিট।’
এই ইডেনেই ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে মহাকাব্যিক টেস্টে হারায় ভারত। সেই সময়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সৌরভ বলেন, ‘২০০১ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে টানা পাঁচদিন ইডেনের গ্যালারি ভর্তি ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শুধু কলকাতা নয়, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু- যেখানেই ভারত খেলবে, সেখানেই খেলা দেখার জন্য মানুষ আসবেন। আর কেনই বা আসবেন না? এই দলে রয়েছে বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, শামি, চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়রাই আসল। তারা খেলে বলেই খেলা জনপ্রিয় হয়। প্রশাসকরা খেলোয়াড়দের কাজটা সহজ করে দিতে পারেন।’
সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছিলেন। যেখানে টেস্ট ক্রিকেট জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে, সেখানে দ্রুত সময়ে দিবা-রাত্রির ম্যাচ আয়োজন করে মাঠে দর্শকদের টেনে আনতে পেরেছেন সৌরভ। এখানেই তার সাফল্য। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি কলকাতার দর্শকদের প্রশংসা করে যান। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনের থেকেও শনিবার বেশি মানুষ খেলা দেখতে এসেছিলেন বলে মনে হয়েছিল আমার। আজ রবিবার ছুটির দিনও অনেক মানুষ খেলা দেখতে এসেছেন। সবাই জানতেন আমরা যেকোনো সময়ে ম্যাচ জিততে পারি। তবুও খেলা দেখার জন্য মাঠে এসেছেন তারা।’