নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারন করা মরনঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে একটানা লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী থাকা অসহায় পরিবারগুলোর একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে চলমান সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সহয়তা। সরকারের পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগেও যার যার অবস্থান থেকে সামর্থ অনুযায়ী অসহায়দের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাই দুর্যোগকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম দেওভোগে নিজ এলাকার অসহায় ৫০০ পরিবারকে খাদ্য উপহার সামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে থেকে কিছুটা হাসি ফোঁটানোর চেষ্টায় ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছেন জুলফিকার স্টীল রি রোলিং মিলস লি. এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ মাহাবুবুর রশিদ জুয়েল ও তার পরিবার।
শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথায় গাঙ্গুলি বাড়ি এলাকায় এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে মোঃ মাহাবুবুর রশিদ জুয়েল সহ তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুলফিকার স্টীল রি রোলিং মিলস লি. এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মাসুদ অাহমেদ রতন, ডাইরেক্টর মঈন অাহমেদ মঈন, অাক্তার হোসেন অনিক ও সাকিব ওসমান।
এ বিষয়ে মোঃ মাহাবুবুর রশিদ জুয়েল জানান, একটানা লকডাউনের কারণে শুধু দিনমজুর বা হতো দরিদ্ররাই নন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও খাদ্য সংকটে ভুগছে। তারা না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন চাইতে। দেশের চলমান এই সংকট নিরসনে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করলেও সবকিছু সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সমাজের মানুষ হিসেবে আপনারও কিছু দ্বায়বদ্ধতা আছে, ধর্মীয়ভাবেও দ্বায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধাতা থেকেই অামাদের পরিবার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাড়াতে। শুধু পাশে থেকে এলাকার মানুষের মুখে কিছুটা হাসি ফোটানো আর আল্লাহকে খুশি করার প্রয়াস মাত্র।
তিনি আরো বলেন, সংকটে পতিত এসব মানুষের সাহায্য করে আপনি তাদের সাহায্য করছেন না, বরং নিজেকেই সাহায্য করছেন। কারণ, এই মানুষগুলো যখন আপনার উপহার পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসবেন আর মন থেকে খুশি হবেন, তখন সেটাই হবে আপনার জন্য বড় দোয়া। বড় পাওয়া।
এদিন, গাঙ্গুলি বাড়ি খেলার মাঠে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি পরিবারকে খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচীর সার্বিক সহযোগীতা করেন মোঃ অালমগীর হোসেন, অাশিক মাহমুদ সুমন, মোঃ অাবদুল অাউয়াল, জাহাঙ্গির, অাবু কালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।