নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সবুজবাগ আইডিয়াল (কেজি) স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতার ফাণ্ড ইউনাইটেড ফর হিউম্যানিটি স্লোগানে গঠিত নারায়ণগঞ্জ ৯৫ ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তের সহযোগিতায় এ অর্থ সহায়তা করেন শিক্ষার্থীরা।
এ উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৯৫ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শরীফ সুমন, খায়রুল কবির মুন্না, ফারুক আহাম্মদ মাহি, সবুজবাগ পঞ্চায়েত
কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও অগ্রনী ব্যাংকের
ম্যানেজার মো. রুহুল মিন, সমাজসেবক মো.
সারওয়ার, ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা, ব্যবসায়ী ও
সমাজসেবক মো. রাসেল কবির, মো. মাসুদ, মো.
সিফাত উল্লাহ, মো. মামুন, মো. রনি, স্কুলটির
শিক্ষক শাহিদা আক্তার, খোদেজা আক্তার,
আরা, সুরাইয়া আক্তার, রাবিদা বেগম, রোখসানা
আক্তার, নাসরিন বেগম প্রমুখ।
ইউনাইটেড ফর হিউম্যানিটি স্লোগানে গঠিত
নারায়ণগঞ্জ ৯৫ ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটি
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের ১৯৯৫ ব্যাচের প্রাক্তন
শিক্ষার্থীদের নিয়ে। এই সংগঠনে চিকিৎসক,
প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ,
সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সরকারি চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছে।
সংগঠনটির সদস্যদের প্রদানকৃত অর্থে ইতোমধ্যে
সহস্রাধিক বন্যার্ত পরিবারকে সহযোগিতার
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজকে ক্ষুদে কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের এই সহযোগিতা আমাদের
ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে আরো অনুপ্রাণিত ও
বেগবান করবে বলে আমি মনে করি।
নারায়ণগঞ্জ ৯৫ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সাংবাদিক
শরীফ সুমন বলেন, আজকে ছোট কোমলমতি
শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের টাকা জমিয়ে সেই
টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতার ফাণ্ডে দিয়ে
মানবিকতার যে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেটা
সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আজকের
শিশুরাই দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যত। এ
কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক
শিক্ষা প্রদান করে মানবিক বোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত
করতে হবে। বর্তমানে সারাদেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব
চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই বন্যার্তদের
জন্য সহযোগিতা পাঠানো হচ্ছে। তবে সেটা পর্যাপ্ত
নয়। এ কারণে সবাইকে যার যার সামর্থের
সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর
আহবান জানান তিনি।
খায়রুল কবির মুন্না জানান, টিভি ও ফেসবুকে
সিলেট সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে বন্যার্তদের দুর্দশার
চিত্র দেখে অন্তর কাঁদছিল শিশু শিক্ষার্থীদেরও।
শিক্ষকদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে আমরা
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাব। সেটা শুনে তারা
টিফিনের টাকা জমিয়ে আমাদের হাতে তুলে দিতে
ইচ্ছা পোষণ করে শিক্ষকদের জানায়। আজকে
তারা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেটা সবার জন্য
অনুকরণীয়।