বার্সেলোনায় একসঙ্গে কত রোমাঞ্চ ছড়ান দুজন। সেই লিওনেল মেসি আর লুই সুয়ারেস গত পরশু মুখোমুখি ইসরাইলে। ২-২ গোলে শেষ হওয়া প্রীতি ম্যাচটিতে উজ্জ্বল ছিলেন দুজনই। সুয়ারেস নিজে এক গোল করার পাশাপাশি এদিনসন কাভানিকে দিয়েও করিয়েছেন একটি। দুইবার পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনার ত্রাতা আবার মেসি। তাঁর ফ্রি কিক থেকে নেওয়া হেডে সের্হিয়ো আগুয়েরো সমতা ফেরান প্রথমে। এরপর ইনজুরি টাইমে মেসির পেনাল্টিতে ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আর্জেন্টিনার টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার নায়ক মেসিই। তাঁর একটি মুভে পাঁচ জনকে ড্রিবলিংয়ে (মাটিতে পড়েও নিজেকে সামলে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন তখন) বোকা বানানোটাও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
কিন্তু ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো মেসির বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা চলার সময় তর্কে জড়িয়েছিলেন তিতের সঙ্গে। ব্রাজিলিয়ান কোচ রেফারির কাছে হলুদ কার্ডের আবেদন করলে তাঁকে ইশারায় চুপ থাকতে বলেন মেসি। তিতেও উল্টো শুনিয়ে দেন দু’কথা। গত পরশুও তাঁর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে এদিনসন কাভানির সঙ্গে। আর্জেন্টাইন দৈনিক ‘ওলে’র দাবি, বিরতির আগে কাভানি নাকি মারামারি করার আহ্বান জানান মেসিকে! তাঁর পাল্টা জবাব, ‘আমি রাজি, যখন তোমার খুশি।’ এরপর বিরতিতে মাঠ ছাড়ার সময় টানেলে আবারও ঝামেলা হয় তাঁদের। সেই দফা দুজনকে আলাদা করেন লুই সুয়ারেস।
৩৪ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। লুই সুয়ারেসের বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান এদিনসন কাভানি। এরপর হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয় দিবালার গোল। ৬৩ মিনিটে আর হতাশা নয়। মেসির ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে বল গন্তব্যে পাঠান আগুয়েরো। ৬৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে লুই সুয়ারেসের আগুনে ফ্রি কিক থেকে আবারও এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ইনজুরি টাইমে মার্তিন কাসেরেসের হাতে বল লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় সমতা ফেরান মেসি। সূত্র : ডেইলি মেইল