en
সোমবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

মান্নানকে নিয়ে আবু জাফরের বক্তব্যে নেতাকর্মীদের সমালোচনার ঝড়

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
PicsArt 02 24 10.40.46

নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:

বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও থানা কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর দেওয়া বক্তব্যে মান্নান নাম বানাম করে লিখতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিব : এমন বক্তব্যের পর সোনারগাঁও বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও  সর্বস্তরের জনগণের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় উঠেছে । 

জানাগেছে, সোনারগাঁও বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান । বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ বিএনপির ডাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মী নিয়ে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার রাজপথে অগ্ৰনী ভূমিকা পালন করেছেন  মান্নান । এই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক মামলা মোকদ্দমা স্বীকার হয়েছেন । নেতাকর্মীদের আপদে বিপদে, মামলা হামলায় সব সময়ই ছায়ার মতো ছিলেন তিনি । নিজ খরচে নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা ও জামিন করেছেন ।  কিন্তু এ সময় খন্দকার আবু জাফরকে মাঠে থাকা যায়নি । নেতাকর্মী নিয়ে কোন মিটিং মিছিল ও করেনি তিনি। এদিকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় । নতুন কমিটিতে তৃনমুলের আলোচনার শীর্ষে আজহারুল ইসলাম মান্নান । তৃনমুল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা সভাপতি  হিসেবে দেখতে চায় । ইতিমধ্যে মান্নানের পক্ষে নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন । এর মধ্যেই হঠাৎ করে খন্দকার আবু জাফরের এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতাকর্মীদের সমালোচনার ঝড় বইছে ।

সোনারগাঁও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম টিটু সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন,দলের ক্রান্তিলগ্নে এমন মন্তব্য করে আবু জাফর নিজেই মুর্খতার ও অযোগ্যতার পরিচয় দিলেন।

খন্দকার আবু জাফরের কঠিন সমালোচনা করে
সোনারগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ কাউছার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন , সবাই আবু জাফর ওরফে মীর জাফরকে একটা করে জুতা মেরে জান…… আর জানতে চান হারামজাদায় এতোদিনে কোথায়  থেকে আসছে!!!

আর এই কমিশন জাফর তো রাজনীতি মধ্যেই নাই সে আবার রাজনীতি ছাড়ার চ্যালেঞ্জ দেয় কোন হিসেবে।

সোনারগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা ইকবাল প্রধান লিখেছেন, জাফর সাহেব আপনিত অনেক শিক্ষিত। আপনি থানা বিএনপির সভাপতি। আপনি কি বাল ফালাইছেন দলের জন্য কি করছেন আপ নার ইতিহাস আমরা জানি। আপনি একজন মদ খাওয়া লোক মদ না খেলে আপনার মুখ দিয়ে কথা আসেনা। মাঝে মাঝে ফেন্সিডিল ও খান। আবার ঢাকায় বসে ক্লাবে জুয়া খেলেন। মেয়ে নিয়ে আনন্দ করেন। সোনারগাঁ এর মানুষ আপনার কু কর্মের কথা জানে।    আরো দশ বছর আগে এই কথা আসেনাই কেন। এখন কেন মান্নান সাহের পিছনে লাগছো। আপনারা কার কথায় ষরযন্ত্র করেন সোনারগাঁ বাসি তা জানে। একবার কাচপুর থেকে আপনাকে গেডায় মেডায় দিয়ে দেয়া হয়েছিল ভুলে গেছেন? ।  এবার প্রস্তুত থাকুন। সোনারগাঁ আপনাকে  গনধোলাই খেতে হবে।  আওয়ামিলীগের দালাল কোথাকার। দালালি করে আর কয় দিন চলবেন। আমি মান্নান সাহেব কে বলবো  জাফর খানকির পোলার  বিরুদ্বে একশন নিতে আমরা তৃনমূল মান্নান সাহেবের পাশে আছি।

হুমায়ূন কবির রফিক নামের এক ব্যক্তি কমান্ডে লিখেছেন, জাফর সাহেব আপনিত অনেক শিক্ষিত। আপনি থানা বিএনপির সভাপতি। আপনি কি বাল ফালাইছেন দলের জন্য কি করছেন আপ নার ইতিহাস আমরা জানি। আপনি একজন মদ খাওয়া লোক মদ না খেলে আপনার মুখ দিয়ে কথা আসেনা। মাঝে মাঝে ফেন্সিডিল ও খান। আবার ঢাকায় বসে ক্লাবে জুয়া খেলেন। মেয়ে নিয়ে আনন্দ করেন। সোনারগাঁ এর মানুষ আপনার কু কর্মের কথা জানে।  আরো দশ বছর আগে এই কথা আসেনাই কেন। এখন কেন মান্নান সাহের পিছনে লাগছো। আপনারা কার কথায় ষরযন্ত্র করেন সোনারগাঁ বাসি তা জানে। একবার কাচপুর থেকে আপনাকে গেডায় মেডায় দিয়ে দেয়া হয়েছিল ভুলে গেছেন? ।  এবার প্রস্তুত থাকুন। সোনারগাঁ আপনাকে  গনধোলাই খেতে হবে।  আওয়ামিলীগের দালাল কোথাকার। দালালি করে আর কয় দিন চলবেন। আমি মান্নান সাহেব কে বলবো  জাফর খানকির পোলার  বিরুদ্বে একশন নিতে আমরা তৃনমূল মান্নান সাহেবের পাশে আছি ।

সাংবাদিক আবু নাছের কমান্ডে লিখেছেন  খন্দকার জাফর রাজনৈতিক মাঠে একজন সিটার, বাটপার সম্প্রদায়ের লোক। জীবনে নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝেনি। মান্নানের পায়ের সমান যোগ্যও নয়।

মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যক্তি কমান্ডে লিখেছেন,
এটা কোন রাজনৈতিক পরিভাষা হলো না, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা। সোনারগাঁ থানা বিএনপি যখন অভিভাবক শূন্য ছিল হাজারো মামলা হামলা নিয়ে যখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জর্জরিত ছিল তখন এসব “নামের বানান” কোথায় ছিল? যিনি সোনারগাঁয়ের বিএনপি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে পাঁচটি বছর কাটাতে পারেননি। সোনারগাঁও এর সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান যাকে বিভিন্ন হামলা-মামলা ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেননি। তারপরও তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে প্রতারণা করেননি বা অন্যায়ের সাথে আপোষ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেননি। সেই মানুষটিকে আজকে এইভাবে উপেক্ষা করা কারোরই ঠিক হবেনা। দেশনেত্রী যখন জেলে তখন নিজেদের মধ্যে এভাবে কামড়াকামড়ির না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নামের একটি ফেসবুক আইডিতে কমান্ড করে লিখেছেন , সাদিপুর ইউনিয়ন মূল দলের কমিটি গঠনে, চিহ্নিত আওয়ামী দালাল ও অশিক্ষিত নিম্ন জাতের পিছাওলার পোলার পক্ষ নিয়ে নয়াপুর পার্টি অফিসের সামনে ৪/৫ শত নেতা-কর্মীর সম্মূখে এই মীর জাফর প্রকাশ্য জুতার বারি খেয়েছে। সামান্যতমও লজ্জাবোধ থাকলে, পরদিন পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল।

সরল মানুষ নামের একটি আইডি থেকে কমান্ড করে লিখেছেন, সালায় মীর জাফর শিক্ষিত হইয়া ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা সাইজা সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। এখন সরকার তাঁকে ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা চিহ্নিত করে কালো তালিকা ভূক্ত করে তার সনদ বাতিল করে দিছে। এখন আপনারাই বলেন তার শিক্ষার কোনো দাম রইলো?




সর্বশেষ - লিড