নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: সোনারগাঁও থানার ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।
রোববার ( ১৭ জুলাই ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হককে নারীসহ আটকের খবর ফেসবুকে দেখে তিনজন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি। তখন তাকেসহ রতন নামে আরও এক সাক্ষীকে জেরা করে ঘটনার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। যদি ন্যায়বিচার পাই তাহলে মামুনুল হক খালাস পাবেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, ৫ম দফায় সাক্ষী গ্রহণ হয়েছে। এদিন সোহাগ রনি ও রতন নামে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সময় সাক্ষীদের জেরাও করা হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষী গ্রহণের সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ৯টার সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশ প্রহরায় মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট গারদে আনা হয়। এরপর দুপুর ১টায় পুলিশ প্রহরায় ক্র্যাচের (হাঁটার লাঠি) উপর ভর দিয়ে কোর্ট গারদ থেকে তিনতলা সিঁড়ি বেয়ে পায়ে হেঁটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হাজির হন মামুনুল হক।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মামুনুল হক অনেক অসুস্থ। তিনি এক স্থানে বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। তাই তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে কাঠগড়ায় চেয়ার দেওয়া হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে আদালতপাড়ায় মামুনুল হকের শত শত সমর্থক ভিড় জমান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘেরাও করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।