চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দিত এই চিত্রগ্রাহকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে মাহফুজুর রহমান খানের স্ত্রীর ভাতিজা আসিফ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ফুপা এখনো বেঁচে আছেন। তার লাইফ সাপোর্টও চলছে। মৃত্যুর খবরটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। একটা জীবনের ব্যাপার। এতটুকু আশা থাকলেও মানুষ চেষ্টা করে প্রিয়জনকে বাঁচিয়ে রাখতে। আমরাও সেই চেষ্টা করছি। চিকিৎসকরা বলছেন যে ফুপার কন্ডিশন খুব খারাপ। যে কোনো মুহূর্তে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। আমরা যেন প্রস্তুত থাকি। তার মানে এই নয় যে তিনি মারা গেছেন।
একটি অনলাইন পোর্টালে মৃত্যুর খবর আসে। পরে অবশ্য তারা মৃত্যুর সংবাদ প্রত্যাহার করে নেয়। কিঞ্জতু গতি পাওয়া গুজব চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষদের দ্বারাই ছড়াতে থাকে।
এদিকে গত ২৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে খাবার খেতে গিয়ে ফুসফুসে খাবার আটকে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাহফুজুর রহমান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন মাহফুজুর রহমান খান। এরপর আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন তিনি। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন এই গুণীজন। নিঃসন্তান মাহফুজুর রহমান খান স্ত্রীকে হারানোর পর একাই জীবন যাপন করতেন।