নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : বিএনপির পার্টির অফিসের সামনে থেকে গ্ৰেপ্তার কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক কার্যকরী সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু।
এক বিবৃতিতে লুৎফর রহমান আব্দু বলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এসকল মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ) পল্টন থানার নাশকতা পরিকল্পনাকারী ও ভাঙচুর মামলায় গ্ৰেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুকে প্রধান আসামিসহ ৬২জনকে আসামি ও ৩০০/৪০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দুপুরে আসামিদের ঢাকা সিএমএম আদালতে আসামিদের হাজির করে ৭দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রাজধানীর পল্টন থানাধীন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে দীর্ঘ সময় তারা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন।
রবিবার কেন্দ্রীয় যুবদলের সাথে জরুরি বৈঠকের জন্য মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দীন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাবেক ও শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপি’র পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। আর জেলা যুবদলের নতুন কমিটি বিষয়কে খোঁজ খবর নিতে যান কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। বৈঠক শুরুর পূর্বে রবিবার সন্ধায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তারা পার্টি অফিস থেকে বের হলে পল্টন থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।