নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিশ্বাস সিরামিকস অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ২৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নারায়গঞ্জ- ১ আসনের (রূপগঞ্জ) সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হীরাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান সময় নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়।
মামলার বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান আরও জানান, উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত বিশ্বাস সিরামিকস অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেডের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক সাব্বির আহমেদের কাছে কিছুদিন ধরে ২৬ লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করে আসছিলেন পাটমন্ত্রীর ছেলে গাজী গ্রুপের এমডি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) পরিচয়দানকারী কামরুজ্জামান হীরাসহ তার সহযোগীরা। তাদের চাঁদা না দিয়ে কারখানার উৎপাদন চালু রাখলে হত্যা করার হুমকিও প্রদান করে তারা। এদিকে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানার প্রধান ফটকে ড্রাইভার তুহিন মিয়া উৎপাদিত মালামাল নিয়ে গোলাপগঞ্জে যাওয়ার জন্য ট্রাকে মালামাল লোড করছিলেন। এ খবর পেয়ে ১৬-১৭ জন সহযোগীসহ কামরুজ্জামান হীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে বাধা দেন। এ সময় কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অ্যাডমিন) সাব্বির আহমেদ এগিয়ে গেলে তাকে ভয়ভীতি প্রদান করেন তারা। দাবি করা চাঁদার টাকা না দেয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধসহ উৎপাদিত মালামাল বাইরে কোথাও পাঠাতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়া হয়। অন্যথায় সাব্বির আহমেদকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়।
ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বিশ্বাস সিরামিকসের অ্যাডমিন ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় কামরুজ্জামান হীরাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে চাদাঁবাজির অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুজ্জামান হীরা, মহিউদ্দিন, তাপস দাস, সাজ্জাদ হোসেন ও রনি ভূঁইয়া নামে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রেফতারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ চাঁদাবাজির মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র – সময় টিভি অনলাইন