নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
মহান মে দিবসে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে শহরে বিশাল র্যালী করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
বুধবার (১ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে মন্ডলপাড়া চাষাঢ়া ঘুরে পুনরায় ক্লাব মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় লাল সবুজ টুপি আর রঙ বেরঙের ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শোডাউনে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ প্রকম্পিত হয়ে উঠে। বিএনপি’র কারাবন্দি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে শ্লোগানে শ্লোগানে মূখর হয়ে উঠে শ্রমিক দিবসের র্যালীটি।
বুধবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা এসে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হতে থাকে। তাদের মাথায় লাল সবুজ টুপি আর হাতে নানা রঙ্গের ফেষ্টুন শোভা পাচ্ছিলো। সকাল এগারোটায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর বহর নিয়ে র্যালী শুরু করেন এড. সাখাওয়াত। র্যালীতে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা।
র্যালীপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আজকে এই দেশকে রাজনীতি শূন্য করে দেয়া হচ্ছে। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একের পর চক্রান্ত করা হচ্ছে। আজকে দেশের মানুষ অত্যান্ত দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। তাই বলতে চাই বিএনপি হলো জনগণের দল, কোন ব্যাক্তি বা নেতা নির্ভর দল নয়। বিএনপির নেতা হচ্ছে এদেশের জনগণ। জনগণই সবসময় বিএনপিকে জাগ্রত করেছে। এই বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নিয়েছে।
সাখাওয়াত আরো বলেন, আগামী দিনে এই বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোকনা কেন, সকল ষড়যন্ত্র ধুলিস্যাত করে দিয়ে এই দেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। এবং বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার সাথে সাথে আবার এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ঠুনকো মামলায় জেল হাজতে রাখা হয়েছে। আমরা এই মে দিবসকে স্বাক্ষী রেখে বলছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। এদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো।তিনি আরো বলেন, এদেশে অসংখ্য বিএনপির নেতাকর্মীকে মিথ্যা বানোয়াট ও ঠুনকো মামলা দিয়ে তাঁদের জেল হাজতে রাখা হয়েছে। আমরা এই সভা থেকে বেগম জিয়া, তারেক রহমান সহ অন্যান্য নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। এবং বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে আমিসহ অন্যান্য যেসকল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মহান মে দিবস পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রমিক ও মজদুরের দাবি আদায়ের একটি প্রতীক হিসেবে, শত বছর যাবৎ পালিত হয়ে আসছে। এই দিনটি আজকে আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। যদি জনগণ তাঁদের দাবির পক্ষে স্বোচ্চার হয়, তাহলে সরকার যতই শক্তিশালী হোক না কেন জনগণের দাবি মানতে বাধ্য।
র্যালীতে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা আমানউদ্দিন আমান, মনির হোসেন খান, গুলজার হোসেন খান, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, হাবিবুর রহমান দুলাল, জেলা বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, গুলশান থানা যুবদলের সভাপতি শরিফুদ্দিন আহমেদ মামুন, মহিউদ্দিন শিশির, আমিনুল ইসলাম শাহ, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এসএম আসলাম, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, ফরিদ হোসেন, শহিদ হোসেন, ফারুক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আফজাল কবীর, স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, নুরুল ইসলাম লাভলু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খান, শাহীন আহমেদ, আরিফুজ্জামান ইমন, তসলিমউদ্দিন লিটন, সহ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি সানোয়ার হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনু, যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান, মঞ্জুরুল আলম মুসা, ফিরোজ আহমেদ, বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, লিংরাজ খান, নুর হোসেন, শজিব খন্দকার, ফারুক হোসেন, জাহিদ খন্দকার, ইকবাল হোসেন, আল আমিন, জাহিদ হাসান পাপ্পু, হুমায়ুন কবীর, রহিম মন্ডল, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেন, সাইদ আহমেদ, অপু রহমান, বোরহানউদ্দিন বেপারী, বাদশাহ মিয়া, জকির হোসেন মেম্বার, কাজী খোকন, রাসেল রানা, মাসুদ রানাসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।