নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সোনারগাঁও হচ্ছে বিএনপি’র মজবুত ঘাঁটি। এই ঘাঁটি যাতে দুর্বল না হয়। সেই জন্য নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে যাবে না এবং কাউকে মাইনাস করাও যাবে না। কাউকে মাইনাস করে সোনারগাঁয়ের এমপি হওয়া যাবে না। সোনারগাঁ বিএনপিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সকলের সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি করতে হবে।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জিয়ার সুস্থতা কামনায় ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সোনারগাঁও শাঁখার উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
রোববার ( ১৭ এপ্রিল ) বিকেল চারটায় সোনারগাঁও উপজেলার প্রতাবেরচর মেঘনা নিউ টাউন এলাকায় পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে ইফতার আগ মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন গৃহবন্দি অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা অংশ নিয়েছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কিন্তু বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ কারারুদ্ধ। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদেরকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন তার বক্তব্যে বলেন, সোনারগাঁ বিএনপিতে যোগ্য লোকদের স্থান দেয়া হচ্ছেনা। অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। আমরা চাই বিগত সময়ে যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে কমিটিতে মূল্যায়ন করা হউক।
তিনি বলেন, সোনারগাঁ বিএনপির রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে আমি তাদেরকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, হুমকি-ধামকি দিয়ে জিয়ার সৈনিকদের আটকে রাখা যাবে না। যদি শক্তি থাকে তাহলে সরকারি লোকদেরকে হুমকি দেন, তাদের সাথে লড়াই করেন। নিজ দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। আমরা পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত আছি। ভবিষ্যতে যে কোন হুমকি শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম আশরাফ প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহ্ আলম মুকুল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল, আশরাফ মোল্লা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান, সম্মান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রমজান সরকার, সম্মান্দী ইউনিয়ন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জিয়া, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আপেল মাহমুদ, জেলা ছাত্রদলের সমাজ সেবা সম্পাদক এড. হাবিব শিকদার, সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল প্রধান, রবিউল রানাসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
