নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন,আমি হতবাক হলাম। এখানে এসেছি উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা করতে। কিন্তু এটা জনসভায় পরিনিত হয়েছে। আমি বন্দর এবং নারায়ণগঞ্জ নিয়ে কাজ করি। যার বেশিরভাগ অংশই সিটি কর্পোরেশন এর আওতায়। যা মেয়র পরিচালনা করেন। খোকন সাহা খুব রাগান্বিত হয়েই কিছু কথা বললেন। ভালো আর মন্দ এইটা কিন্তু থাকবেই।
আমাদের ভিপি বাদল,চন্দন শীল ও খোকন সাহা। একদিন দেখবেন এদের মধ্যেই কেউ মেয়র হবেন, কেউ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবে কেউ এমপি হবেন। আমাদের সবচেয়ে বড় দরকার যেটা ভবিষ্যৎ প্লানিং করা। বাপ দাদারা বলত রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রেগে আর যেয়েন না। আমরা সবাই দেখতে পারছি।হিন্দু-মুসলমান, ওনি কারো সম্পত্তি ছাড়ছেন না। তার জবাব উপরে গেলে দিতেই হবে। জমি নিয়ে যারা কুন্দল করে আল্লাহ মৃত্যুর পরে ঐ জমির ওজন তার গলায় তাবিজ বানিয়ে ঝুলিয়ে দিবে। ইবলিশ আশেপাশে থাকবেই। ইবলিশ থেকে রক্ষা পেতে আমার ঈমানই যথেষ্ট। লোভ করতে গেলে যে যত বড়ই নেতা তা আর থাকবে না।
বন্দরে বন্দর ইউনিয়ন উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভার প্রধাণ অতিথির বক্তব্যের তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলাধীন নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেনে আয়োজিত এ সভায় তিনি আরো বলেন, আপনারা জানতেন না প্রধানমন্ত্রী যদি আমরা না পেতাম তাহলে এই করোনা ভ্যাক্সিন আমরা পেতাম না। ওনি নিজস্ব চিন্তাধারায় জুম মাসে ভারতের কাছে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন, আমার ভ্যাক্সিন আমাকে সময় মত দিতে হবে। যা কানাডা’র মত দেশ ও পারেনি। উন্নয়নের কথা মানুষের বেঁচে থাকার চিন্তা করেন সেটা মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশিদ,
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকআলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধাণ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ,মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম, নাসিক’র ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন প্রমূখ।