নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকের এই অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এদেশের মানুষ যাতে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। এ সরকার গত ২০০৮ সাল থেকে এদেশে একটি স্বৈরশাসক ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজকে প্রশাসনকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় দখল করে বসে আছে। এই শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জোর জবরস্তি মূলক সরকার।
বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আওতাধীন বন্দর থানা ও উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
শনিবার ( ৮এপ্রিল ) বন্দরের সোনাকান্দা এলাকায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, এটা ২০২৩ সন। এই ২০২৩ সনে জোর জবরস্তি মূলক সরকারের কোনো সময় নাই। এদেশের মানুষ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকার ৭৪ সনের মতন আবারো দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষ বাজারে গেলে কাঁদে। ১৫ ই আগস্ট আসলে আমরা দেখতাম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবুরের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে পোস্টার লাগাতো কাঁদো বাঙালি কাঁদো। আজকে বাঙালির কাঁদতে ১৫ আগস্ট লাগে না। প্রতিদিন বাঙালি বাজারে গেলে কাঁদে। এই কান্নার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।
তিনি আরও বলেন, আজকে এই শেখ হাসিনার সরকার আর তাদের মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতি করে এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। আজকে তারা লক্ষ লক্ষ হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে করেছে। তারই জন্য আজকে এদেশের মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে সরকারকে ১০ দফা মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলব। অন্যথায় এই সরকারকে এদেশের মানুষ টেনে হেঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আগামী দিনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপি, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি, বন্দর উপজেলা বিএনপি, মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দল, কৃষকদল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে অংশগ্রহণ করেন।
বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা’র সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম হিরণ, হারুন উর রশিদ লিটন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহি উদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, মো. সেলিম, নাসির উদ্দিন টিপু, কাজী নাঈম, সোহেল খান খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সহ- সমন্বয়ক সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজিব, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেলসহ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।