সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি পালনকালে বিনা উস্কানিতে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ এবং বিভিন্ন থানায় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সাবেক এই সাংসদ এক বার্তায় বলেন, জেলার বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভি, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সহঅর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা, বানোয়াট এবং গায়েবী কল্পকাহিনী নির্ভও এসব মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি অসহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের মানুষ তা প্রত্যক্ষ করছে। বিশ্ববাসীর কাছেও বিষয়টি স্পষ্ট। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বারবার বাধাগ্রস্থ হচ্ছি, মিথ্যা মামলা, হামলার শিকার হচ্ছি। যা বর্তমান সরকারের একটি ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ এসব ঘটনা। সরকার দলীয় লোকজন সহিংসতা ঘটিয়ে তা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। যা জঘন্য ও ঘৃণিত। এসব বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষও জানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের এই চরিত্র। আমরা এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়; মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লড়াই করে যাচ্ছে। যত বাধা-বিপত্তি আসুক এই সংগ্রাম থেকে আমরা পিছপা হবো না। এ যাবৎ পর্যন্ত হাজার হাজার মামলা দিয়ে, কয়েক লাখ নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম করেও দাবিয়ে রাখতে পারেনি এই সরকার। আগামীতেও পারবে না, ইনশাল্লাহ। আমরা এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মকভাবে সক্রিয় রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকর্মীরা সরকারের হামলা, মামলা, রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবে না। যত বাধা আসবে আমাদের আন্দোলন তত বেশি গতি সম্পন্ন হবে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করবোই, ইনশাল্লাহ।